No idea is a bad idea
আপনার মাথায় যদি একটা ইউনিক আইডিয়া আসে, আপনি ব্যবসার সমূহ সম্ভাবনা দেখেন, তাহলে সেটা নিয়ে উদ্দমী হন। আশেপাশের মানুষ যদি বলে, এই প্ল্যান কে সফল করা খুবই কঠিন, তাহলেই বুঝবেন, আপনার এগিয়ে যাওয়াই উচিত।
আমি, আমার কথা বলি, Pharma DRA এমন কিছু ইউনিক সার্ভিস দেয় যে, আমার আশেপাশের মানুষ আমাকে বলেছিলো/এখনো বলে, ভাই, এই সার্ভিস টা কেউ নিতে চাইবে না, খুব কষ্ট হবে, ক্লায়েন্ট এই মেথড এ রাজি হবে না।
এমন একটি ইউনিক সার্ভিস আমি প্ল্যান করি ২০২১ সালের প্রথমে, ২০২১-২০২২ সালে আমি প্রস্তুতি নিতে থাকি, প্রসপেক্টিভ ক্লায়েন্ট দের কাছে সার্ভিসটির বর্ণনা দিতে থাকি, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে আমরা সেই সার্ভিসটি প্রথম দিতে শুরু করি, ২০২৩ সালে এসে আমরা এখন সেই সার্ভিসটি ২টি বিদেশী কোম্পানিকে দিচ্ছি।
অতীতে, ২০০০ সালের আগেও মার্কেট এর সংজ্ঞা ছিল, “এটি একটি স্থান (Physical place) যেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই উপস্থিত থাকে এবং লেনদেন করে।” এখন, মার্কেট হয়ে গেছে ভার্চুয়াল। বাংলাদেশের মানুষের এখনো ধারণা, নতুন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করতে চাইলে, একটি সুসজ্জিত অফিস অথবা, একটি কারখানা দরকার। আচ্ছা, আমাকে বোঝান তো, একটি ট্রেডিং ব্যবসা বা ইন্ডেন্টিং এজেন্টশিপ বা কনসালটেন্সি সার্ভিস বা আই.টি. ফার্ম বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস-এর জন্য সুসজ্জিত অফিস-এর কেন প্রয়োজন?
একটি ফাস্ট স্মার্টফোন, একটি ভালো কনফিগারেশন এর ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার ও একটি স্ক্যানার হলেই এই ধরণের ব্যবসা শুরু করা যায়। অফিসিয়াল ডকুমেন্ট স্মার্টফোন দিয়ে স্ক্যান করে আপনি সাময়িক কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু, মনে রাখবেন, ভবিষ্যৎ এর জন্য সংরক্ষন ও ক্লায়েন্ট কে পাঠানোর জন্য অফিসিয়াল ডকুমেন্ট স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করুন।
আমার আত্মজীবনী:
জীবনের প্রথম চাকরি করতে গিয়েছিলাম, টঙ্গী স্টেশন রোড এর বিসিক এলাকায় ছোট একটি ওষুধ ফ্যাক্টরিতে, কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার হিসেবে (২০১০ সালে)। ৬ মাস চাকরি করে বুঝলাম, বড় কোম্পানিতে চাকরি করতে হবে।
তারপর যোগদান করলাম, টপ ১০ এ থাকা একটি কোম্পানির হেড অফিস এ, রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স এক্সিকিউটিভ হিসেবে। ২ বছর পর বুঝলাম, আমাকে দিয়ে প্রাইভেট চাকরি হবে না। আরো বেশি বেতন ভাতা, সুযোগ সুবিধা এর জন্য মন আনচান করতে শুরু করলো। এটাও বুঝলাম, ট্রেডিং & সাপ্লাই ব্যবসা করতে হবে। আমি স্থায়ীভাবে চাকরি করলে, দেশ ও জনগণের কোনো উপকার করতে পারবো না।
এরপর যোগদান করলাম, টপ ৫ এ থাকা একটি কোম্পানির হেড অফিস এ, রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স এক্সিকিউটিভ হিসেবে। ২ বছর পর বুঝলাম, ফার্মা সেক্টর এ অবদান রাখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, এবং জনগণের সেবা করবো বলে, স্কুল জীবনে যেই রচনা লেখতাম, তার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।
তারপর গেলাম, ইন্ডেন্টিং ব্যবসা করতে, গিফট আইটেম বিক্রি করতে, বুঝলাম, ব্যবসা আমাকে দিয়ে হবে, কিন্তু কোয়ালিটিকে জয় বাংলা করে দিয়েছে। একই সাথে শুরু করলাম, একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ এ শিক্ষকতা করতে, করলাম ৭ বছর ৯ মাস! এখানেও এক্সপেক্টশন এর সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নাই। ছাত্র-শিক্ষক, কারোই গবেষণার কোনো ইচ্ছা নেই। সরকার বা কর্তৃপক্ষের কারোই কোনো বাজেট নেই, ইন্ডাস্ট্রির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো যোগাযোগ নেই।
শিক্ষক পড়ালেখা না করে, শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করতে যায়। শিক্ষার্থী ক্লাসরুম এ প্রবেশ করে নিজের ইচ্ছে মতো। ৬ মাসের সেমিস্টার এ একদিনও ক্লাস না করে পরীক্ষার হলে বসে।
